উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬/১০/২০২৩ ৬:১৮ পিএম , আপডেট: ০৬/১০/২০২৩ ৬:২০ পিএম
সেন্টামার্টিন জেটি

কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল ও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকার কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে ট্রলার ও জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে তিন দিনেও সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া দুই শতাধিক পর্যটক টেকনাফে ফিরতে পারেননি। গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এতে সেন্ট মার্টিনে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। তবে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

গত মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তর মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করে। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন, নৌপথে চলাচলকারী সব ধরনের পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়ার পাশাপাশি সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার না করায় শুক্রবারও (৬ অক্টোবর) টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় যাত্রী নিয়ে কোনো ট্রলার সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি স্থানীয় কোস্ট গার্ড।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন শুভ বলেন, তিন দিন ধরে সেন্ট মার্টিনে কোনো জাহাজ ও ট্রলার আসেনি। এর কারণে দ্বীপে কিছুটা খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা দ্বীপে ১০ হাজার বাসিন্দা আছি তার মধ্যে ২০০ পর্যটক। ট্রলার চলাচল না করায় টেকনাফ থেকে কোনো ধরনের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে কিছুটা খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল ও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকার কারণে ২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। এখনো আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আজকেও তাদের ফেরা হচ্ছে না। সেন্ট মার্টিন থেকে সব ধরনের জাহাজ ও ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় কিছুটা খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তবে দ্বীপের মানুষ ও পর্যটকদের কথা চিন্তা করে উপজেলা প্রশাসন খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে। পর্যটকরা ভালো আছেন।

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক সুমি আকতার বলেন, এখানে খাবারের দাম বাড়তি। তার মধ্যে কিছু কিছু হোটেলে গরুর মাংস ও মুরগির মাংস নেই। যেসব হোটেলে আছে তারা অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল ও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় আজকেও জাহাজ চলাচল বন্ধ আছে। দ্বীপে আটকা পর্যটকদের জন্য খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তিনটি ট্রলার গেছে।

পাঠকের মতামত

ঘটনাপ্রবাহঃ সেন্টমার্টিন

রামুতে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কক্সবাজারের রামুতে আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থা ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর শিক্ষা প্রকল্পের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও প্রকল্প সমন্বয়কারির ...

উখিয়ায় বনবিভাগের পাহাড় কেটে তৈরি করছে বসতভিটা

কক্সবাজারের দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের ওয়ালাপালং বিটে রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তরপুকুরিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় বনবিভাগের সহযোগিতায় ...

বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাস-পিকাআপের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পিকাআপ চালক ও হেলপার রয়েছেন। মঙ্গলবার ...